Header Ads Widget


শীত কালীন রোগ পা ফাটাঃ কারন, লক্ষণ ও তার হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা






শরীরের অন্যান্য অংশের তুলনায় পায়ের গোড়ালীর ত্বক অনেক বেশী শক্ত। শীতে ত্বকের শুষ্কতা ও ধুলাবালির গোড়ালী আরও বেশী শক্ত হয়ে পড়ে। এ থেকেই শুরু হয় পা ফাটার সমস্যা। পা ফাটা(Cracked heels) কেবল  একটি সাধারন সমস্যা নয়। এ থেকে গুরুতর শারীরিক সমস্যাও হতে পারে।পায়ের তলায় গোড়ালীর বাইরের দিকের চামড়া শুষ্ক ও শক্ত হলে ও চামড়া উঠতে থাকলে পা ফাটে। অনেক সময় এত গভীর ফাটল হয় যে ব্যাথা করে বা রক্ত বের হয়। বিশেষত শীতকালে এ সমস্যা প্রকট হয়। নিন্মে ইহার কারন, লক্ষণ ও চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা বিদ্ধৃত হলঃ---


 পা ফাটর কারন(Causes of Cracked Heel)

নিন্মক্ত কারন গুলি প্রধানঃ

  • শুষ্ক জলবায়ুযুক্ত স্থানে বসবাস (Cold winter weather)
  • স্থুলতা বা মুটিয়ে যাওয়া (Excess weight)
  •  খালি পায়ে দীর্ঘক্ষন হাটা
  • গোড়ালী খোলা জুতা পরা
  • কিডনী সমস্যা (Kidney disease)
  • থাইর‍্যেড সমস্যা (Thyroid disease)
  • ভিটামিনের অভাব (Vitamin deficiency)
  • ডায়াবেটিস (Diabetes)
  • খনিজের অভাব
  • বংশগত (Genetics)
  • নিষ্ক্রিয় ঘর্মগ্রন্থি
  • দীর্ঘ সময় ধুলা ময়লায় কাজ।
উল্লেখ্য, অন্য অনেক সমস্যার মত পা ফাটাও চিকিৎসা না করে ফেলে রাখলে বিপজ্জনক হয়ে যেতে পারে যদি ও গুলো সংক্রমিত হয়ে যায়। যাদের ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের ক্ষেত্রে এটি বিশেষ বিপজনক।


পা ফাটার লক্ষণ সমূহ(Symptoms of cracked heel)

  • পায়ের গোড়ালীর চারপাশের চামড়া শুষ্ক হয়ে যায়।
  • চামড়া পুরু শক্ত ও রুক্ষ হয়ে যায়।
  • শুষ্কতর কারনে পা চুলকায়।
  • গোড়ালীর চামড়া ফাটা ভাব হয়।
  • ছোট ছোট চামড়ার টুকরা উঠে আসে।
  • পা ফাটা গভীর হলে প্রদাহ দেখা দিতে পারে'
  • খুব ব্যাথা হয়, হাটতে কষ্ট হয়।
  • অনেক সময় পা ফেটে রক্তপাত হয়। 

হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা(Homeopathic Treatment)

হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ ভিত্তিক চিকিৎসা পদ্ধতি। লক্ষণ সাদৃশ্যে নিন্মক্ত ঔষধ গুলো প্রধানঃ-

 

পেট্রলিয়াম(Petroleum): নির্দেশক লক্ষণাবলী-

  •  শীতের দিনে ভীষন ভাবে হাত-পা ফাটা।
  • ফাটা অনেক গভীর ও রক্তপাত হয়। 
  •  ফাটা স্থান খুব ব্যাথা হয় ও চুলকায়
  • পদতলে প্রচুর দূর্গন্ধ যুক্ত ঘাম হয়।
  • শীত কালে চর্মপীড়ার বৃদ্ধি।
  • পেট্রলের ধোয়ার গন্ধ ভাল লাগে।
  • শীতকালীন পা ফাটার একটি চমৎকার ঔষধ পেট্রলিয়াম

গ্রাফাইটিস( Graphitis): নির্দেশক লক্ষণাবলী-

  • ধাতুগত বৈশিষ্ট হল- মোটা চটা ফাটা (Fair, Flabby, Fatty)
  •  পায়ের গোড়ালী ফেটে যায়।
  • চটচটে আঠালো রস নির্গত হয়।
  • শরীরে ঘাম কম।
  • ফেটে যাওয়া জায়গা চুলকায় ও ব্যাথা হয়।
  • শীতকালে রোগ লক্ষণ বাড়ে।

সালফার( Sulfur): নির্দেশক লক্ষণাবলী-

  •  গাত্র চর্ম নোংরা ও অপরিচ্ছন্ন।
  • হাত পা ও মাথার তালু ব্জালা।
  • চর্মরোগ প্রবন শরীর।
  • গোসলে রোগ লক্ষণ বাড়ে।
  • পায়ের ফাটা জায়গা খুব চুলকায়।
  • অনেক সময় রক্তপাত হয়।
  • রোগী গরম কাতর।

Post a Comment

0 Comments